জামালপুর জেলা
জামালপুর জেলা বাংলাদেশের মধ্যাংশের অঞ্চল। ময়মনসিংহ বিভাগের একটি প্রশাসনিক অঞ্চলে । পুরাতন ব্রহ্মপুত্র
নদীর পশ্চিম তীরে অবস্থিত। বিশেষ করে কৃষি পণ্যের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ
বাণিজ্য কেন্দ্র। এটি রেল পথে জগন্নাথগঞ্জ ঘাট, এবং বাহাদুরাবাদ ঘাট ও ময়মনসিংহ, টাঙ্গাইল, এবং মেঘালয় (ভারত) এর সঙ্গে রাস্তা দ্বারা সংযুক্ত। কৃষি প্রধান এ অঞ্চলে মূলত প্রধান ফসলের মধ্যে ধান, পাট, আখ, সরিষা বীজ, চিনাবাদাম, এবং গম হয়।ভারত থেকে আমদানিকৃত পন্য ও রপ্তানির অন্যতম প্রধান কেন্দ্র হল জামালপুর।দেশের সবথেকে বড় সার কারখানা এখানেই রয়েছে
জামালপুর জেলা ৭টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত; এগুলো হলোঃ
জামালপুর জেলা ৭টি উপজেলার সমন্বয়ে গঠিত; এগুলো হলোঃ
জামালপুর
জেলার ইতিহাস সম্পর্কে সঠিকভাবে ধারণা পেতে হলে প্রখ্যাত আউলিয়া হযরত শাহ
জামাল (র:) ও হযরত শাহ কামাল (র:) এ দুই বুজুর্গ ব্যক্তির নাম স্মরণ করতে
হয়। ইসলাম তথা মানবতার বাণী প্রচারের জন্য হযরত শাহ জামাল (র:) দিল্লীর
বাদশাহ আকবরের সময়কালে সুদূর ইয়েমেন দেশ থেকে ইসলাম প্রচারের জন্য
জামালপুরে তশরিফ রাখেন। জামালপুর শহরের আদি নাম সিংহজানী। হযরত শাহ জামালের
(র:)
নামে কোন মৌজা, গ্রাম হাট-বাজার কিছুই নেই। আমাদের পরম সৌভাগ্য যে এ
পূণ্যবান ব্যক্তির মাজার শরীফ জামালপুর শহরে অবস্থিত। তাঁর পবিত্র নামেই এ
জেলার নামকরণ করা হয়েছে।
১৯৭১ সালে ১০ ডিসেম্বর
জামালপুর হানাদার বাহিনী মুক্ত হয়। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পরেই
জামালপুরকে জেলা করার দাবী আবারো বেগবান হয়ে উঠে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর
রহমান ১৯৭৫ সালে জামালপুরকে জেলা করার প্রতিশ্রুতি দেন। ১৯৭৮ সালে ২৬ ডিসেম্বর জামালপুর বাসীর জন্য একটি আনন্দের দিন। কারণ এ দিনে জামালপুরকে স্বাধীন বাংলাদেশের ২০তম জেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়।
জামালপুর জেলা সীমানা কি?
উ:উত্তরে শেরপুর, দক্ষিনে টাঙ্গাইল,পূর্বে ময়মনসিংহ এবং পশ্চিমে বগুড়া জেলা ও যমুনা প্রবাহমান।
জামালপুর জেলার আয়তন কত?
উ:২,০৩২ বর্গ কি.মি.
জামালপুর জেলার জনসংখ্যা কত?
উ: ২৩,৮৪,৮১০ জন।
জামালপুর জেলার ঘনত্ব কত?
উ: ১০৮৪ জন প্রতি বর্গকিলোমিটারে।
জামালপুর জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত?
উ: ০.৮৩%
জামালপুর জেলার জনসংখ্যার অনুপাত কত?
উ: পুরুষ ৯৭ : নারী ১০০জন।
জামালপুর জেলার সাক্ষরতার হার কত?
উ: ৩৮.৪।
জামালপুর জেলার সাক্ষরতার আন্দোলনের নাম কি?
উ: উদ্ভাসিত জামালপুর।
জামালপুর জেলার গ্রাম কতটি?
উ: ১৩৫২ টি।
জামালপুর জেলার কত টি ইউনিয়ন আছে?
উ: ৬৮ টি।
জামালুর জেলার উপজেলা /থানা কতটি ও কি কি?
উ: ৭ টি।জামাল পুর সদর, বকশীগঞ্জ , সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ,ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ।
জামালপুর জেলার পৌরসভা কতটি কি কি?
উ:৮ টি। ( জামালপুর, সরিষাবাড়ি, বকশীগঞ্জ,দেওয়ানগঞ্জ, ইসলাম পুর, মাদারগঞ্জ, ধনবাড়ি ও মেলান্দহ)
জামালপুর জেলার নদনদী গুলো কি কি?
উ:পুরাতন ব্র:পুত্র, যমুনা,বানার জিনজিরা,ছাতল,ঝিনাই, দশ আনি,ইত্যাদি।
জামাল পুর জেলার ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্হান গুলো কি কি?
উ:যমুনা সার কারখানা, শাহ জামালের মাজার দয়াময়ী মন্দির ইত্যাদি।
জামালপুর জেলার শিল্প ও খনিজ সম্পদ গুলো কি কি?
উ: জিলবাংলা চিনি কল, যমুনা সার কারখানা।।।
এম শহিদুল ইসলাম
উ:উত্তরে শেরপুর, দক্ষিনে টাঙ্গাইল,পূর্বে ময়মনসিংহ এবং পশ্চিমে বগুড়া জেলা ও যমুনা প্রবাহমান।
জামালপুর জেলার আয়তন কত?
উ:২,০৩২ বর্গ কি.মি.
জামালপুর জেলার জনসংখ্যা কত?
উ: ২৩,৮৪,৮১০ জন।
জামালপুর জেলার ঘনত্ব কত?
উ: ১০৮৪ জন প্রতি বর্গকিলোমিটারে।
জামালপুর জেলার জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার কত?
উ: ০.৮৩%
জামালপুর জেলার জনসংখ্যার অনুপাত কত?
উ: পুরুষ ৯৭ : নারী ১০০জন।
জামালপুর জেলার সাক্ষরতার হার কত?
উ: ৩৮.৪।
জামালপুর জেলার সাক্ষরতার আন্দোলনের নাম কি?
উ: উদ্ভাসিত জামালপুর।
জামালপুর জেলার গ্রাম কতটি?
উ: ১৩৫২ টি।
জামালপুর জেলার কত টি ইউনিয়ন আছে?
উ: ৬৮ টি।
জামালুর জেলার উপজেলা /থানা কতটি ও কি কি?
উ: ৭ টি।জামাল পুর সদর, বকশীগঞ্জ , সরিষাবাড়ি, মেলান্দহ,ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ ও মাদারগঞ্জ।
জামালপুর জেলার পৌরসভা কতটি কি কি?
উ:৮ টি। ( জামালপুর, সরিষাবাড়ি, বকশীগঞ্জ,দেওয়ানগঞ্জ, ইসলাম পুর, মাদারগঞ্জ, ধনবাড়ি ও মেলান্দহ)
জামালপুর জেলার নদনদী গুলো কি কি?
উ:পুরাতন ব্র:পুত্র, যমুনা,বানার জিনজিরা,ছাতল,ঝিনাই, দশ আনি,ইত্যাদি।
জামাল পুর জেলার ঐতিহাসিক ও দর্শনীয় স্হান গুলো কি কি?
উ:যমুনা সার কারখানা, শাহ জামালের মাজার দয়াময়ী মন্দির ইত্যাদি।
জামালপুর জেলার শিল্প ও খনিজ সম্পদ গুলো কি কি?
উ: জিলবাংলা চিনি কল, যমুনা সার কারখানা।।।
এম শহিদুল ইসলাম
জামালপুর
ময়মনসিংহ জেলার মধ্যে প্রথম মহুকুমা হিসেবে ১৮৪৫ সালে মর্যাদা লাভ করে।
মহুকুমা সৃষ্টি হওয়ার ১৩৩ বছর পরে ১৯৭৮ সালের ২৬ ডিসেম্বর জেলার মর্যাদা
পায়। জামালপুর জেলা গঠনের আন্দোলন মূলত: বঙ্গভঙ্গের পরে ১৯১২ সালেই সূচীত
হয়। ১৯১২ সালে লর্ড কার্জন জামালপুরকে জেলা করার ঘোষণা দেন। ১৯১৯ সালের
দিকে ধনবাড়ীর নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী ধনবাড়ীকে জেলা সদর করে জামালপুর ও
টাঙ্গাইলকে নিয়ে একটি জেলা করার প্রস্তাব করেন। কিন্তু এতে জামালপুর ও
টাঙ্গাইলবাসী কোন পক্ষই
সমর্থন করেনি। ১৯০৮ সালে শেরে-ই-বাংলা এ কে ফজলুল হক জামালপুর এর মহুকুমা
প্রশাসক থাকার সময় জামালপুরকে জেলা করার দাবী আরো বেগবান হয়ে উঠে।
জামালপুরকে জেলা হেডকোয়ার্টার করার জন্য ১৯১৭ সালে জামালপুর পৌর এলাকায়
২৩৫ একর জমি সরকার অধিগ্রহণ করে। ১৯২০ সালে টাঙ্গাইল জেলার গোপালপুর থানার
কয়েকটি গ্রাম সরিষাবাড়ী থানার সাথে সংযুক্ত করা হয়। ১৯৩৮ সালে তৎকালীন
বিদ্যোৎসাহী ব্যক্তিদের উদ্যোগে জামালপুরকে জেলা করার দাবী সর্বস্তরের
মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। জামালপুর না টাঙ্গাইল কোথায় জেলা সদর হবে এ নিয়ে
তৎকালীন বৃটিশ সরকারও কোন সঠিক সিদ্ধান্তে উপনীত হতে পারেনি। এ সময়ে বন্যা,
সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা ইতাদি কারণে জামালপুর জেলার বাস্তবায়ন পিছিয়ে পড়ে। ঐ
সময়ে কংগ্রেস ও মুসলিমলীগের বহু প্রভাবশালী নেতা থাকলেও নিজেদের কোন্দলের
কারণে তারা জামালপুর জেলার বাস্তবায়ন দেখে যেতে পারেননি, যথাযথ কর্তৃপক্ষের
নিকট তুলে ধরতে পারেননি জামালপুর জেলা গঠনের প্রয়োজনীয়তা। যে কারণে
জামালপুর জেলা প্রতিষ্ঠিত হতে প্রায় ১৩৩ বছর সময় লেগেছে।
No comments